১৩ বছরের কারাদণ্ড এড়াতে দীর্ঘ ১৯ বছর পলাতক ছিলেন রব্বানী নামে নীলফামারীর এক ব্যক্তি। এই পলাতক জীবনে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাম ও পেশা পরিবর্তন করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর থানার সুলতান মার্কেট থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার রব্বানীর বাড়ি নীলফামারীর নটখানা খামাদপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা মৃত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনোয়ার কুলি। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে একটি চুরি এবং ট্রেনে নাশকতার অভিযোগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা করে। ওই মামলায় ২০০৭ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত রব্বানীকে রেলওয়ে আইনের ১২৬ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোড ৩৭৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
সাজা এড়াতে রব্বানী রায় ঘোষণার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে গোয়েন্দা নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে রব্বানীর অবস্থান শনাক্ত করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এরপর গাজীপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে ছিলেন, এমনকি বিভিন্ন সময় পেশাও পরিবর্তন করেছেন।
এটিইউ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, গ্রেপ্তার রব্বানীকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।