রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসায়নিকের গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাসায়নিক গুদামের আগুন লাগার পর যখন অক্সিজেন কমে যায়, তখন জানালা দিয়ে শিখা বেরিয়ে পোশাক কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কারখানার কর্মীরা অচেতন হয়ে পড়েন এবং মারা যান।’
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ‘ধোঁয়ার পরিমাণ এখন কমে এসেছে। গুদামের দোতলা পরিষ্কার হয়ে গেছে, নিচতলায় কিছু আছে। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পোশাক কারখানার রাসায়নিকের মধ্যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকে, ডাইং কেমিক্যাল থাকে। এগুলো ততটা বিষাক্ত নয়, তবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে এটি বিষাক্ত হয়ে গেছে। এখানে সালফার ডাই-অক্সাইড আছে, নাইট্রিক অক্সাইড আছে। এগুলোর গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে, যা বিষাক্ত। আমরা শুনেছি, মাস্ক ছাড়া কাছাকাছি যাওয়ায় দু-একজন অচেতন হয়ে গেছে। খুব কাছে গেলে রাসায়নিকের গন্ধটা পাওয়া যায়। সে জন্য কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো।’
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটা হলো মানুষের সৃষ্টি করা দুর্যোগ। এটা আবাসিক এলাকা, এর মধ্যেই শিল্প এলাকা রয়েছে। কারখানাগুলো খুব একটা মানসম্মত না। যেসব ভবনে কারখানা গড়ে উঠেছে, আমার মনে হয় না এগুলোর কোনো ছাড়পত্র আছে। এ রকম এলাকায় কারখানা না থাকাই উচিত। এটা যথাযথ শিল্প এলাকা নয়। শিল্প এলাকার জন্য সরকার স্থান নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এগুলো স্থানান্তরে সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে হয়তো এসব কারখানা এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।’