মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিএনপির বিভক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে চান দলটির নেতারা। তৎপর ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
মাদারীপুর-১
শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামাল জামান মোল্লা। তবে এক অনুষ্ঠানে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে এক দিনের মাথায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে তৎপর দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী, সদস্য নাদিরা আক্তার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা বাশার সিদ্দিকী, নাভিলা চৌধুরী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাদিরা আক্তারের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপিতে বিভক্তি থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় তৎপর জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন মৃধা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আকরাম হোসাইন।
মাদারীপুর-২
গুলশানে গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। তবে এতে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটি খালি রাখা হয়। তবে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়মিত সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তৎপর দেখা গেছে। তাঁরা হলেন বিএনপির সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহানের নাম ঘোষণা করা হয়।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সোবাহান খান। ২৩ বছর জেলা আমিরের দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি দলের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের দপ্তর সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন জাফরী।
মাদারীপুর-৩
সদর উপজেলার একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। আওয়ামী লীগের আমলে দুই দফায় গুমের শিকার হয়েছিলেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কালকিনি পৌর আমির মো. রফিকুল ইসলাম মৃধা। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম আজিজুল হক। তিনজনই সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।