রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ভবনে আটকা পড়াদের খোঁজে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। দুই ঘণ্টা পর ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মুক্তা দাস নামের এক নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর খালাতো বোন পরিবার নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলায় কেএফসিতে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, ফোন বন্ধ রয়েছে। খালাতো বোন ও ভাগনি নিখোঁজ রয়েছেন।
মুক্তা দাসের মতো এমন অনেকেই স্বজনদের খোঁজে বহুতল ভবনের নিচে ভিড় করছেন। অনেকে ছবি হাতে স্বজনদের খুঁজছেন।
ভবনটির নিচ তলায় স্যামসাং ও গেজেট অ্যান্ড গিয়ার নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। ভেতরে কী হয়েছে এখনো আমরা জানি না।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভেতরে তল্লাশি করছি। আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে যতটুকু করা সম্ভব, আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। বাকি পরিস্থিতি এখনো বলার সময় হয় নাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারপরও ভেতরে ধোঁয়া আছে। আমরা যতজন পারছি, জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি।’
আহতরা হলেন—শাকিল (২৪), উজ্জল (২৩), জোবায়ের (২১), ওমর ফারুক (৪৩), শাকিল (২২), জুয়েল (৩০) ও সিজান (২২)।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ভবনের বিভিন্ন তলায় আটকা পড়েছিলেন তাঁরা। তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে আহত হন। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন—