‘পাকিস্তানিরা বলে আমরা বাংলাদেশে যেতে চাই। পাকিস্তান তো এখন দেউলিয়া। অনেকেই বলতেন পাকিস্তানে ভালো ছিলাম। এখন পাকিস্তানিরা বলে আমরা বাংলাদেশে যেতে চাই। এই অবদান কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’
আজ শনিবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে সিসি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম।
জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি, চাল পাচ্ছি, ঘর পাচ্ছি, আমরা বিএনপি করতাম এ কথা ভুলে গেছি। আমরা এখন আর বিএনপি করব না। এখন আমরা নৌকায় ভোট দেব। এটা কিন্তু পুলিশ আর আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে। আগাম ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে জরুরি। যেটা প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। জেলা পুলিশও এই পন্থা অবলম্বন করবে। আমাদের দলের লোক বা বাইরের কেউ হলেই অপরাধীকে প্রশ্রয় দেব না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ অপরাধ করলে ছাড় নাই।’
পুলিশের সেবা বিষয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, রাজবাড়ী জেলা পুলিশ দিনরাত আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সিসি ক্যামেরা উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের নিরাপত্তা আরও বেড়ে গেল। আমাদের রাজবাড়ীতে কোনো চাঁদাবাজি করতে গেলে আগে তার ঠাঁই হবে আমাদের থানায়, পরে কোর্টে।
জিল্লুল হাকিম বলেন, মানুষের গরমে যাতে কষ্ট না হয়—এ জন্য সুবিধা করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন প্রতিটা বাড়িতে টিভি আছে। আগে কি তা ছিল? এখন বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, ১৫ টাকা কেজি চাল সবই প্রধানমন্ত্রীর অবদান। এখন কোথাও কোনো খারাপ পরিস্থিতি হলে মাত্র ১০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে যেতে পারে। এখন কিন্তু কেউ অপরাধ করে তাহলে তার পালানোর সুযোগ নাই। এখন কিন্তু কেউ অপরাধ করলে পুলিশের কাছে ধরা পড়তেই হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থে হলেও সিসি ক্যামেরা লাগান। আমরা তো যেকোনো আসামি ধরে ফেলি। কিন্তু সিসি ক্যামেরা আমাদের শতভাগ নিশ্চিত হয়ে আসামি ধরতে সহায়তা করে। আমরা সিসি ক্যামেরার জন্য নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ঘরে ঘরে পুলিশ যাওয়া সম্ভব না। জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। রসুলপুরের ডাকাতিটা সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ দেখে অপরাধীদের কাছে পৌঁছে গেলাম। একটা সিসি ক্যামেরা ৬০০ পুলিশের কাজ করবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার চাদরে যেন আমরা আপনাদের এলাকাকে ঢেকে ফেলতে পারি—এ জন্য সিসি ক্যামেরা খুব জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে স্বপ্নের পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করি। আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও এগিয়ে যাবেন দেশ গড়ার কাজে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার পাংশা সার্কেল সুমন কৃমার সাহা, বালিয়াকান্দি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান, পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান, কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশাহ আলমগীর প্রমুখ।