নরসিংদীর রায়পুরা পৌর শহরে প্রায় ৭০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন একটি এনজিওর কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির তালাবদ্ধ অফিসের সামনে ভুক্তভোগীদের কান্না-আহাজারিতে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।
জানা গেছে, সমাজকল্যাণ সংস্থা নামক এনজিওটি সম্প্রতি সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান হাসিব আহমেদ জাকিরের একটি ভবনে অফিস ভাড়া নেয়। এরপর ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে পরিচয়পত্র, ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে। এক লাখ টাকার ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে নেয় ১০ হাজার টাকা, কিন্তু কোনো রসিদ বা বৈধ কাগজপত্র দেয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখে হতবাক হয়ে পড়েন গ্রাহকেরা। এর পর থেকে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী মনির মিয়া বলেন, ‘আমরা ছয়জন মিলে ২ লাখ টাকা ঋণের জন্য ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়েছিলাম। আজ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। গিয়ে দেখি তালা ঝুলছে।’
একই অভিযোগ করেন হরিপুরের ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া। তিনি বলেন, ‘৪ লাখ টাকার ঋণের আশায় ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি প্রতারিত হয়েছি।’
অনেক নারী ভুক্তভোগী জানান, তাঁরা অল্প সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় কষ্টের জমানো টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন সবই শেষ। তাঁরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং তাঁদের জমা দেওয়া অর্থ ফেরত নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তবে ভবনমালিকের পক্ষ থেকে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।