মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামে উদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মর্টার শেল বিস্ফোরণে গ্রামের তিনটি গরু মারা গেছে এবং অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ জন্য তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে কাজ শুরু করেন পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিটে মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, মর্টার শেল বিস্ফোরণের আফরিন (৭) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। এ ছাড়া বিকট শব্দে গ্রামটির ঘরবাড়ি, মসজিদ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের ৭০টির মতো বাড়িঘর ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ নিয়ে স্থানীয় জনতার রোষানলে থানা-পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে আড়ালিয়া গ্রামের মসজিদসংলগ্ন হানিফের কৃষিজমিতে মাটি কেটে আইল বানাতে গিয়ে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা এটিকে প্রথমে সীমানা পিলার মনে করলেও পরে পুলিশ জানায়, এটি একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বলে ধারণা করা হয়।