মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ৩১ জন রোহিঙ্গা ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির দুজন সদস্য নিয়ে একটি ট্রলার কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সেন্ট মার্টিনে নোঙর করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ট্রলারটি গতকাল বৃহস্পতিবার মংডু টাউনশিপ থেকে রাজধানী সিটওয়ে যাত্রা দেওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, ট্রলারটিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২ সদস্য ও ৩১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী ১০ জন ও ১১ জন শিশু রয়েছে। বিজিপির ২ সদস্যের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন, অন্যজন সার্জেন্ট। দুজনের হাতে অস্ত্রও রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ট্রলারটি গতকাল বিকেলে মংডু শহর থেকে যাত্রা শুরু করে। ট্রলারটিতে করে তাঁদের মিয়ানমারের জলসীমায় থাকা নৌবাহিনীর জাহাজে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাঁরা সিটওয়ে শহরে যাবেন। কিন্তু কিছু দূর আসার পর ট্রলারটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিনের উত্তর-পশ্চিম সৈকতে চলে আসে। বর্তমানে তাঁরা দ্বীপের উত্তর সৈকতের একটি রিসোর্টে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) পাহারায় রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩১ জন রোহিঙ্গা ও দুই বিজিপি সদস্য একটি ট্রলারে করে এসে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিমপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে শুনেছি। বিজিবির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবেদার সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ট্রলারে করে আসা ৩৩ জনকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।