কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে ২৫০ যাত্রী বহনে সক্ষম একটি নতুন সী-ট্রাক উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই যাত্রীবাহী নৌযান।
এর আগে সকালে তিনি এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদী তীরবর্তী প্রস্তাবিত কক্সবাজার নৌবন্দরের জমি পরিদর্শন করেন। শহরের কস্তুরাঘাট খুরুশকূল সংযোগ সেতুসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনকালে তাঁরা নদী তীরের অবৈধ দখল, প্যারাবন ধ্বংস, অপরিকল্পিত ড্রেজিং এবং পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করেন।
পরে তাঁরা বাঁকখালীর মোহনায় বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটেও পরিদর্শন করেন এবং নদী সংরক্ষণ ও দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ নৌপরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। বিকেলে দুই উপদেষ্টা জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে ‘বাঁকখালী দখল ও দূষণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন।
সভায় নদী বন্দরের অবৈধ দখল ও দূষণ রোধ, সীমানা পিলার স্থাপন, নিয়মিত ড্রেজিংসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। সন্ধ্যায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কক্সবাজারের হোটেল মালিকদের সঙ্গে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ ব্যবহারে সচেতনতামূলক বৈঠকে অংশ নেবেন। রাতে দুই উপদেষ্টা কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।