হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে তীব্র ভাঙন, মেরামত শুরু 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল। দু-তিন ধরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় উপকূলে আছড়ে পড়ছে। এতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কের ১৫-১৬টি স্থান ভেঙেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। 

এর মধ্যে টেকনাফের মুন্ডার ডেইল ও ক্ষুরের মুখ এলাকায় দুই কিলোমিটার সড়কে ৪টি বড় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকায় ৫০ ও ১০০ মিটার সড়ক প্রায় সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। পাশের ক্ষুরের মুখ এলাকায়ও একইভাবে পিচঢালা সড়কের অর্ধেক সাগরে চলে গেছে। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন আশঙ্কা করছেন, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সেখানকার প্রায় দুই হাজার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি ইউনিট সড়কটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সড়কের ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে জোয়ার এলে কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি, ইনানীর পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ অংশের কয়েকটি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাগরের ঢেউয়ের চাপে এসব এলাকায় জিওটিউব ছিঁড়ে সড়কে আছড়ে পড়ছে। 

টেকনাফের মুন্ডার ডেইলে দেখা যায়, ১০০ থেকে ১৫০ মিটার সড়ক কিছু অর্ধেক বা আরও বেশি সাগরের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। গত বছরও বর্ষা মৌসুমে একই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সাগর থেকে দু-তিন বছর ধরে প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এতে এখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কের বিভিন্ন অংশে সাগরের ভাঙনে ঝাউগাছ উপড়ে গেছে।  

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম বলেন, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো সম্ভব না হলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাঁর মতে, আজ-কালের মধ্যে ভাঙা অংশগুলো মেরামত করে বন্ধ করতে না পারলে জোয়ারের আঘাতে সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন রোধে সমুদ্র ও পরিবেশবিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তাহলে ভবিষ্যতে ভাঙন রোধ টেকসই হবে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দু-তিন দিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। এতে মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ শুরু করেছে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কটি এখনো সেনাবাহিনী দেখভাল করে থাকে। ভাঙন ঠেকানোর কাজও সেনাবাহিনীর অধীনে হবে।

কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

কক্সবাজারে নদীর তীরে মিলল যুবকের মরদেহ

চকরিয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেল অটোরিকশা, শিশু নিহত

কক্সবাজারে দুই যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ: পর্যটক সেজে লামায় লুকিয়ে ছিলেন ৫ আসামি

বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৬০০ বাউন্ডলি, গ্রেপ্তার ৩

কোস্ট গার্ডের হাতে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল, বোটসহ ৫৩ জেলে আটক

কক্সবাজারে পার্কিংয়ে থাকা বাসে আগুন

পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল কুতুবদিয়ার লাইটহাউস সি-বিচ

নাফ নদ এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশির বাড়িতে