বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে উঠেছে। আজ রোববার সকাল থেকে জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় তীরে আছড়ে পড়ছে। এর মধ্যে বেড়াতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা ঝড়ের আগে উত্তাল সাগরের রূপ দেখতে সৈকতে ভিড় করছেন।
এদিকে সকাল থেকে পর্যটকদের সাগরে না নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। পর্যটকদের অনুরোধ করেও সরানো যাচ্ছে না।
ঢাকার মালিবাগ থেকে দুই দিন আগে বেড়াতে এসেছে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের পরিবার। আজ রোববার সকালে ফেরার কথা থাকলেও কক্সবাজারে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন। দুপুর ১২টায় শহরের লাবণী পয়েন্টে সপরিবারে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কোনো সময় ঝড়ের তীব্রতা দেখার সুযোগ হয়নি। এই প্রথম সুযোগ হলো। বাচ্চারা বেশ উপভোগ করছে।’
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে সাগরে নামতে না পারে, তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে বিচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।