হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

প্রত্যাবাসনে প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা বন্ধ, পাচ্ছে সন্ত্রাসীদের হুমকি

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  

প্রত্যাবাসিত হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আশ্রিত সাধারণ রোহিঙ্গাদের। খাদ্যসহায়তা হারানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকিও পাচ্ছে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহীরা। বাংলাদেশে আশ্রিত চার রোহিঙ্গা আমির হোসেন, মোহম্মদ হাসান, হোসান জোহার এবং মোহম্মদ হাসান তাদের পরিবারের ২৩ সদস্য নিয়ে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছেন। 

প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে আসা এই চার রোহিঙ্গা পরিবার সোমবার সকাল থেকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে না। 

খবর পেয়ে পরিবারগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়। 

এ প্রসঙ্গে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রত্যাবাসনে সম্মতি জানানো চার পরিবারকে সোমবার সকালে খাদ্য দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে, খবর পেয়ে আমরা তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি।’

কী কারণে এই সহায়তা বন্ধ করা হলো, সে ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর কিছু জানায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও সংস্থাটির কক্সবাজার অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগির গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে জানানো হবে।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার হুমকি 
প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখানো রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে পরিচিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

রোহিঙ্গা ভিত্তিক বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কৌশলে আরসার সদস্য-সমর্থকেরা প্রত্যাবাসন বিরোধী বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। 

কেউ প্রত্যাবাসনে আগ্রহীদের তালিকা করতে এলে তাদের আটকে রাখতে নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে এসব বার্তায় ৷ এ ছাড়া আগ্রহী রোহিঙ্গাদের দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে তারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু ইচ্ছে প্রকাশ করলেই জানের ভয় (মৃত্যুভয়) হচ্ছে আরসার কারণে। তারা চায় না আমরা ফিরে যাই।’

থামছে না হত্যাকাণ্ড, দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেল মাদ্রাসা ছাত্রের
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের চলমান আলোচনার মাঝেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থামছে না হত্যাকাণ্ড, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষ। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শতাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ৷ এসব ঘটনায় অন্তত ৩৬ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। 

সর্বশেষ গতকাল সোমবার ভোর রাতে বশির আহমেদ নামে একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৬ ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ পুলিশের আভিযানিক তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারে নদীর তীরে মিলল যুবকের মরদেহ

চকরিয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেল অটোরিকশা, শিশু নিহত

কক্সবাজারে দুই যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ: পর্যটক সেজে লামায় লুকিয়ে ছিলেন ৫ আসামি

বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৬০০ বাউন্ডলি, গ্রেপ্তার ৩

কোস্ট গার্ডের হাতে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল, বোটসহ ৫৩ জেলে আটক

কক্সবাজারে পার্কিংয়ে থাকা বাসে আগুন

পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল কুতুবদিয়ার লাইটহাউস সি-বিচ

নাফ নদ এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশির বাড়িতে

ইয়াবাসহ ২ নারী গ্রেপ্তার