সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করতে এজলাসে হাজির হয়ে ৩০০ পাতার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ছেন বিচারক। এদিকে আদালতের বাইরে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও তাঁর বাহিনীর বিচারের রায় দেখতে ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন শতাধিক ভুক্তভোগী।
সকাল থেকে আদালতপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে একজন নুরুল হক। টেকনাফ নাজিরপাড়া এলাকার এজাহার পিয়ারের ছেলে। তিনি একটি মসজিদের ইমাম।
মানববন্ধনে নুরুল হক বলেন, ‘ওসি প্রদীপ তাঁর লালিত বাহিনী দ্বারা আমাকে ডেকে ১০ মাস আটকে রেখে ১ কোটি টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ক্রসফায়ারের হুমকি দেন। ১০ মাস পরে কলাতলী থেকে একটি অস্ত্র ও ৫ হাজার ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আমাদের নাজিরপাড়ার বাড়িটি দখলে নেন ওসি ও তাঁর বাহিনী।’ নুরুলের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ ও তাঁর ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ওসি প্রদীপ ও তাঁর বাহিনীর ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
সকাল থেকে কনকনে শীত উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে ওসি প্রদীপের নির্যাতনের শিকার শতাধিক লোক ওসি প্রদীপ ও তাঁর বাহিনীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করতে আসেন। রায় দেখে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তাঁরা।
আরও পড়ুন: