হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ৪১ ওয়ার্ডে ৪২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বর্জ্য নিতে যাচ্ছেন পাড়া-মহল্লায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনের ৪ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ শুরু করেছে। আজ শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টার পর নগরের ওয়ার্ডগুলোকে ১২টি জোনে ভাগ করে বর্জ্য অপসারণে নামেন তাঁরা। দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। কয়েকটি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণের কাজ সরেজমিন তদারকি করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে নগরের মসজিদগুলোয় ঈদের নামাজ আদায়ের পর ৪১টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ও সড়কে পশু কোরবানি দেন মুসল্লিরা।

নগরের চকবাজার, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকজন পশু কোরবানি দিচ্ছে। কোরবানি শেষে বর্জ্যগুলো পরে ডাস্টবিনসহ আশপাশে জড়ো করে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডার নিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। বেলা ২টা নাগাদ সর্বশেষ নেওয়া খবরে অধিকাংশ বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ বলে জানা গেছে। তবে ওই সময়ও দু-একটি জায়গায় সড়কে পশু কোরবানিও দিতে চোখে পড়ে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, চসিকের বর্জ্য অপসারণের ৩৬৯টি গাড়ি দিয়ে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এসব বর্জ্য পরে চট্টগ্রামে বায়েজিদে ও পতেঙ্গায় নির্দিষ্ট আবর্জনাগারে নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে কোরবানির স্থানটিকে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা জানিয়েছেন, নগরীকে দুটি জোনে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে হালিশহরে আবর্জনাগারে। এর আগে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বিকেল ৫টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এবার ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি পশু কোরবানি দেওয়ার কথা। সে হিসাবে প্রায় ১০ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য তৈরি হতে পারে।

চসিকের তথ্যে, বর্জ্য অপসারণ-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডকে ১২টি জোনে বিভক্ত করে সেখানে ১২ জন কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদারকি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার অধীনে ৭৪ জন সুপারভাইজার ও পরিদর্শক বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব পালন করছেন।

হাটহাজারীতে বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা: মেডিকেল বর্জ্য খালে, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

চট্টগ্রামে নির্বাচনী লড়াই: রক্তাক্ত রাউজানে গিয়াসই প্রার্থী

সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

দাবি পূরণে প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট হবে: ৮ দলের সমাবেশে জামায়াত আমির

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন