লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বামী আলমগীর হোসেন হত্যা মামলায় স্ত্রী ইয়ানুর বেগমকে সাত বছর ও পরকীয়া প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত থাকলেও ইয়ানুর বেগম পলাতক।
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরকীয়ার জেরে আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় স্ত্রী ইয়ানুর বেগমের সাত বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার চরচামিতা এলাকায় আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রাখেন আসামিরা। পরদিন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
১৫ অক্টোবর চন্দ্রগঞ্জ থানায় আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ইয়ানুর বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে আসামি করে নিহতের বাবা লাতু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকে ইয়ানুর বেগমের সঙ্গে আবদুর রাজ্জাকের সম্পর্ক হয়। এর জেরে আসামিরা আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় আড়াই বছর পর আজ মামলার রায় দিলেন আদালত।