চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নগরজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। যারা বের হচ্ছে, তাদের পড়তে হচ্ছে সড়কের জলজটের ভোগান্তিতে। শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা ও খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা অন্তত আরও এক-দুই দিন অব্যাহত থাকবে।’
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেল ১টা পর্যন্ত নগরের কোথাও পাহাড়ধসের খবর পাওয়া যায়নি। তবে নগরের জিইসি মোড়, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, আতুরার ডিপো ও এর সংলগ্ন হাজীপাড়া এলাকায় সড়ক ও অলিগলির রাস্তা পানিতে ডুবে ছিল। এতে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি বেশি হয়েছে। এ ছাড়া নিচু এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরের কয়েকটি সড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামসহ তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা মহানগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।