ফেনীতে বাসায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। ঘটনার ১৩ দিন পর গত সোমবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দগ্ধ টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
গত শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার (৯) এবং ৩১ ডিসেম্বর হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার (৪০)।
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের বাসায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে ওই পরিবারের তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল কবীর জানান, অগ্নিদগ্ধ তিনজনের মধ্যে আশীষ চন্দ্রের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁর শ্বাসনালিও অনেকাংশ পুড়ে গেছে। স্ত্রীর ৪০ শতাংশ আর ছেলে ৩০ শতাংশ শরীর পুড়ে যায়। পরে তাঁদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আশীষ চন্দ্র ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে আশীষ সবার বড়। তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। শিশুসন্তান রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।