হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-নওফেলসহ ১০৮ জনের নামে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

গতকাল রোববার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা। 

মামলায় ওয়াসিমকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস ছবুর লিটন, এসরারুল হক এসরারুল, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহুরলাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবদুস সালাম মাসুম, জাকারিয়া দস্তগীর ও মো. ফিরোজ।

মামলার আরও কয়েকজন অন্যতম আসামি হলেন যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, মো. ইসমাইল, মো. দেলোয়ার, এন এইচ মিন্টু, মোহন ঘোষ, মো. আলী, ভুবন ঘোষ, আরহাম খান, ইসমাইল উদ্দিন লিটন, দৌলত খান, এনামুল হক মানিক, নুর মোহাম্মদ, মো. সোহেল, নেজাম উদ্দিন, মো. আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নুর নবী সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, সাগর দাস, জাহেদ হোসেন, জি এম তৌশিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, দেবাশীষ পাল দেবু, মো. জাবেদ, মহিউদ্দিন, মো. জাফর, মো. আলী সাহেদ, মহিম আজম, দিদারুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. আলী, মো. ইসহাক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, দিদারুল আলম মাসুম, মো. মাসুম, জিহান আলী খান, মহিউদ্দিন শাহ, মুজিবুর রহমান রাসেল ও মোহাম্মদ রাশেদ। 

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ জুলাই বেলা ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিলেন। তখন ছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী শক্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন চলছিল। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসযোগ্য চালায়। 

১৬ আগস্ট বিকেল ৩-৪টায় ওয়াসিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং ওই সময়ে তাঁর ওপর আসামিদের নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ও লাঠিসোঁটা, হকিস্টিকসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করে। একপর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম বুকে ও নাভিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন পরে। তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় তাঁর মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

নিহতের পরিবার জানায়, গত ১৬ জুলাই বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রামে মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন ওয়াসিম আকরাম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও একই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। 

ওয়াসিম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তাঁরা দুই ভাই ও তিন বোন।

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, একজন বলছিলেন—‘গুলি কর’

পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার আইনজীবী জামিনে মুক্ত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারার প্রতিবাদে দিনে লাল পতাকা, রাতে মশাল মিছিল

চমেক হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি

পার্টির পেছনে ইসলাম থাকলে, সেটা ইসলাম হয়ে যায় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের দ্বিতীয় দিনেও কোটার ৮০০ কম পর্যটক