কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাফর আলম (৩৭) নামে একজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ওই ক্যাম্পের সাবেক হেড মাঝি বদিউর রহমানের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ।
সেই সঙ্গে একই রাতে ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ হালিম (২৭)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় ৮ এপিবিএন এএসপি ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীরা কয়েকজন দুর্বৃত্তকে দেখে পরিচয় জানতে চান। এ সময় হঠাৎ তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান জাফর আলম। আহত হয় আরও দুজন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করে এএসপি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে এবং এসংক্রান্ত পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রাতে ক্যাম্প-৭-এ হালিম নামে এক রোহিঙ্গাকে দুর্বৃত্তরা পরপর তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হালিম নামের এক রোহিঙ্গা যুবক। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তার বা পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।’