চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার ঘটনায় অভিযুক্ত আজিম হোসাইনসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁদের আটক করা হয়। বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক (পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম) লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ, পিএসসি বিস্তারিত জানাবেন।
এর আগে, অভিযুক্তদের ধরতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চবির শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি।
অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের একজনের নাম আজিম হোসাইন। আরেকজনের নাম তদন্তের পর বলা যাবে। ভুক্তভোগী ছাত্রী সময় ও জায়গার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এ কারণে তাঁদের শনাক্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
জানা গেছে, আজিম হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের পাশের রাস্তায় বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এ সময় পাঁচ যুবক তাঁদের গতি রোধ করে জেরা করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুজন কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের মারধর করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ও তাঁর বন্ধুকে এক ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ওই যুবকেরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের মানিব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁরা চলে যান।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন: