চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চুরি করেছেন এমন সন্দেহে মারধরের শিকার দুরুল হুদা (৫২) মারা গেছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। দুরুল হুদা উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৩ নভেম্বর সকালে বিনোদপুর ইউনিয়নের মাস্তান বাজার এলাকায় চোর সন্দেহে তুলে নিয়ে তাঁকে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়। তাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর দিন দুরুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, ফারুক আহমেদ, তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ নভেম্বর সকালে বিনোদপুর ইউনিয়নের মাস্তান বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুরুল। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত চুরির অপবাদ দিয়ে তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি হলুদের খেতের পাশের একটি গাঁছে বেঁধে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। পাশাপাশি অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর দুটি পা। পরে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি এসব কথা স্বজনদের এসব কথা জানান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসান আলী নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আদালতে করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন। দুরুলের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মরদেহ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’