পূর্বশত্রুতার জের ধরে অন্যকে ফাঁসাতে ছিনতাই নাটক সাজিয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেন মামুন অর-রশিদ নামে এক যুবক। এর পর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন মামুন অর রশিদ এর বাবা মো. গাজলুর রহমান। এরপর ছিনতাইকারীদের ধরতে মাঠে নামে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ। পরে পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয় পুরো ঘটনা ছিল সাজানো নাটক। ঘটনাটি ঘটছে মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার ১২ রশিয়া বেড়ি বাঁধ এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ছোট বোনের বিয়ের জন্য বাখের আলী হতে বড় বোনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় রওনা দেন চল্লিশ রশিয়া (আদিনা কলেজ) এলাকার মো. গাজলুর রহমান এর ছেলে মামুন অর রশিদ। এর পর ১২ রশিয়া বেড়ি বাঁধ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাসুদ রানা, আফসার আলীর ছেলে সুমন, টিপু সুলতানের ছেলে সুমন রেজা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মানিক আলীর ছেলে ইব্রাহীম আলীসহ আরও অজ্ঞাত ৫ / ৬ যুবক তাঁর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেসবাহুল হক মেসবাহ জানান, ৯৯৯ এ ছিনতাই এর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর পর অভিযোগ কারির কথামত ছিনতাইকারীদের ধরতে সারা রাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে বুধবার সন্ধ্যায় মাসুদ রানা, সুমন আলী এবং ইব্রাহীম কে থানায় আনা হয়। তখন ৯৯৯ এ কল দাতা মামুন অর রশিদ এবং তাঁর বাবা মো. গাজলুর রহমান কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবং টাকা দেওয়া ফরিদা বেগমের সঙ্গে কথা বলা হয়। এতে অভিযোগকারী বাবা এবং তাঁর ছেলে মামুন অর রশিদের কথার ব্যাপক গড়মিল ধরা পড়ে। মেসবাহুল হক মেসবাহ আরও জানান মূলত পূর্বের একটি লেনদেন কে কেন্দ্র করে ছিনতাই নাটক সাজায় মামুন অর রশিদ এবং তাঁর বাবা মো. গাজলুর রহমান।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন জানান, পারিবারিকভাবে মানুষ মানুষ কে হয়রানি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। দ্রুত যেন বিচার হয় সে হিসেবেই কিছু অসাধু ব্যক্তি ৯৯৯ কে বেছে নিয়েছে। তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।