নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু নেই সেভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের পাশেই খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে গৃহস্থালির বর্জ্য। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন পথচারী, চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে খোলা স্থানে ময়লার স্তূপ পড়ে থাকায় দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে স্থানীয়রা। মশার উপদ্রব বাড়লেও পৌরসভার ভ্রুক্ষেপ নেই এসবে।
সরেজমিন শনিবার দেখা গেছে, পৌরসভার আরামবাগ, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, মেথর মোড়, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ও হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাচীরঘেঁষা জায়গায় ফেলা হচ্ছে গৃহস্থালির ও বাজারের বর্জ্য। এসব জায়গায় নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ না করায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। তবে কোথাও কোথাও আংশিক বর্জ্য সরানো হলেও পুরোপুরি না করায় সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয় বালুবাগান এলাকার এক চায়ের দোকানদার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে প্রচুর ময়লা ফেলা হয়। পৌরসভার লোকজন নিয়মিত সরায় না। দুর্গন্ধে দোকানে কাস্টমার বসতে পারেন না।’
আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন পড়তে যাওয়ার পথে হাত দিয়ে নাক চেপে যেতে হয়। পৌরসভার গাফিলতির কারণে আমরা ভোগান্তিতে আছি।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা হলেও প্রতিদিন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। কোথাও যদি থেকে যায়, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, পৌরসভা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ টন গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু সায়েদ বলেন, ‘খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলার কোনো নিয়ম নেই। আমরা পৌরসভাকে নির্দিষ্ট স্থানে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খোলা জায়গায় ময়লা থাকলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় খোলা জায়গায় ময়লা রাখা বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যসম্মত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।’