হোম > সারা দেশ > চাঁপাইনবাবগঞ্জ

জীবিকার কথা ভেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন শিথিল

প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে জেলায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ রেখে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এ ঘোষণা দেন। মানুষের জীবন–জীবিকার কথা বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ কালে সব ধরনের দোকানপাট ও শপিংমল বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া কেউ উঠতে পারবেন না।

এ ছাড়া সব ধরনের সাপ্তাহিক হাট বাজার এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রীর দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের দোকান খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় চলবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান–বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি করা যাবে না।

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য ক্রয়–বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। তবে খাবারের দোকানে বসে খাওয়া যাবে না। রিকশায় একজন, অটোরিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। জেলার মধ্যে গণপরিবহন অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচল করতে পারবে।

আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিল্প-কারখানার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।

মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা একই পদ্ধতিতে উপাসনালয়ে যেতে পারবেন। কৃষি ও নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।

আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।

এদিকে রাজশাহী বিভাগে একদিনে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বিভাগে মোট ৬০৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০৭ জন শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহীতে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৫ জন, নওগাঁয় ১১৯ জন, নাটোরে ৩৫ জন, জয়পুরহাটে ৬১ জন, বগুড়ায় ১৬ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন এবং পাবনায় ১৬ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া এসময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন সাতজন করোনা রোগী। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যান আটজন। এ ছাড়া ৪ জুন মারা যান সর্বোচ্চ ১৬ জন। এর আগে ৩ জুন নয়জন, ২ জুন সাতজন এবং ১ জুন আরও সাতজন মারা যান।

এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত ৫৯৭ জনের মৃত্যু হলো। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩১৮ জন মারা গেছেন বগুড়ায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩ জন মারা গেছেন রাজশাহীতে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৬ জন, নওগাঁয় ৪৫ জন, নাটোরে ২৭ জন, জয়পুরহাটে ১২ জন, সিরাজগঞ্জে ২৪ জন এবং পাবনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার নতুন ৬০৭ জন রোগী শনাক্ত হওয়ায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩১ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাবে, গত বছরের ১২ এপ্রিল বিভাগে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ জুন রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়ায়। তারপর গতবছরেরই ২০ জুলাই ১০ হাজার, ৪ আগস্ট ১৫ হাজার এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০ হাজার ছাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। এরপর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায় রোগীর সংখ্যা। পরে ১৯ এপ্রিল সংখ্যাটি ৩০ হাজার ছাড়ায়। গত ৩০ মে ৩৫ হাজার ছাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। ৩ জুন সেটি ৩৭ হাজার অতিক্রম করে। এরপর তিন দিনের মধ্যে আরও এক হাজার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত দিয়ে ৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২৭ জন আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলি-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত, রামেকে ভর্তি

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজন আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

পুশ ইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা সোনালী অবশেষে ভারতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ, বিএসএফের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ