হোম > সারা দেশ > চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বৃষ্টির পানি মাঠ ছাপিয়ে শ্রেণিকক্ষে, বন্ধের উপক্রম বিদ্যালয়ের পাঠদান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হুজরাপুর মডেল একাডেমি প্রাঙ্গণে থইথই পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৃষ্টির পানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হুজরাপুর মডেল একাডেমি প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে হাঁটুপানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম।

আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির প্রবেশপথ থেকে শুরু করে শ্রেণিকক্ষ পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। জাতীয় পতাকা মঞ্চ, খেলার মাঠ, স্কুলের বারান্দা, এমনকি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে গেছে। বিদ্যালয়ের চলাচলের পথও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর বৃষ্টি এলেই বিদ্যালয়টিতে পানি ঢুকে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বিদ্যালয়ের চারপাশে ভালো নালাব্যবস্থা নেই। ফলে বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় পুরো স্কুল প্রাঙ্গণেই পানি জমে থাকে। নিচু এলাকায় অবস্থান করায় পানি দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকে। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তাদের অভিভাবকেরাও সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন থকেন।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাশরাফি বলে, ‘ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দেখে আসছি, প্রতিবছর বর্ষার সময় বৃষ্টির পানিতে শ্রেণিকক্ষসহ স্কুলের মাঠ ডুবে যায়। এতে ক্লাস করতে পারি না। গতকাল থেকে বৃষ্টির কারণে আজকেও ক্লাস করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। অনেকেই স্কুলে আসার সময় পানিতে পড়ে গিয়েছিল। আবার বাড়িতে যাওয়ার সময়ও পানিতে পড়েছে।’

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল বাকিরের মা আক্তারী বেগম বলেন, ‘আজকে প্রচুর বৃষ্টির কারণে স্কুল পানিতে ডুবে গেছে। আমার ছেলে স্কুলে গিয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে এসেছে। মাত্র দুটি ক্লাস করতে পেরেছে। স্কুলের চারপাশের বাড়িগুলো উঁচু আর স্কুলটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে প্রতিবছর ডুবে যায়। এর স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হুজরাপুর মডেল একাডেমি প্রাঙ্গণে থইথই পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রেণিকক্ষে পৌঁছাতেই ভিজে যায় শিক্ষার্থীরা। অনেকেই পানিতে পড়ে ভিজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় পাঠদান স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে অল্প বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে যায় স্কুলের মাঠে। বিদ্যালয়ের ২১২ জন শিক্ষার্থী। শুধু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও ইউএনওকে বারবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছে। কাজ হচ্ছে না। আমরা নিরুপায়। বৃষ্টির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির মুন্সি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুলে জলাবদ্ধতার কথা শুনে আমি সেখানে কয়েকজন শ্রমিক পাঠিয়েছিলাম। পানি নিষ্কাশনও হয়েছিল। আবার জলাবদ্ধতা হয়েছে। আমি সেখানে সরেজমিনে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেব।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ, বিএসএফের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনসহ ৬ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত

পুকুরপাড়ে পড়ে ছিল পাহারাদারের রক্তাক্ত মরদেহ

নির্বাচন ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে অস্ত্র, তিনটি অস্ত্র উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ৬০ মিটার সেতুর কারণে ১০ কিলোমিটার পাড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযানে চোর-ডাকাতসহ গ্রেপ্তার ৪০

শুধু স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা না, জামায়াত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যাও করেছে : মির্জা ফখরুল

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, চাকরি হারালেন শিক্ষিকা

ডাকাত ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা

সীমান্তে ভারতীয় বোনের লাশ দেখে কাঁদলেন বাংলাদেশি ভাই