১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। এ সময় আন্তজেলা বা দূরপাল্লার কোনো যানবাহন এই জেলা থেকে ছেড়ে যায়নি বা প্রবেশ করেনি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও যাত্রীদের নিয়ে আর ফেরেনি।
এ ছাড়া গতকাল বিকেল থেকেই আন্তজেলা পরিবহনগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। এদিকে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে রিকশা ও অটোরিকশাগুলো।
জামিল উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাস টার্মিনালে এসে জানলাম পরিবহন ধর্মঘট। এখন যেকোনো মূল্যে রাজশাহীতে যেতে হবে।’
শরিফা খাতুন নামে অপর যাত্রী বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়কজুড়ে অটোরিকশা ও সিএনজি অটোচালকদের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে সবাইকে।’
ধর্মঘট প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুর রহমান নান্নু বলেন, ‘দাবি আদায়ে সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনা হলেও কোনো সমাধানে না আসায় বাধ্য হয়ে এই ধর্মঘটের ডাক দিতে হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিদিনই আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে ৩৫০-এর বেশি বাস চলাচল করে থাকে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেই শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধর্মঘট শুরুর আগে বুধবার থেকে নেতা-কর্মীরা রাজশাহীতে আসতে শুরু করেছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, এই ধর্মঘটের সঙ্গে মালিক-শ্রমিকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের আগমন ঠেকাতে এই ধর্মঘট সরকারই চাপিয়ে দিয়েছে।