ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) সংসদীয় আসনে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রাথমিক তালিকায় নাম না থাকায় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পৃথক রিভিউ পোস্ট করেছেন দুই আলোচিত নেতা।
তাঁরা হলেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক সরকার মাহাবুব আহমেদ শামীম এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী নুরুল হুদার জ্যেষ্ঠ পুত্র তানভীর হুদা। তাঁদের পোস্ট ঘিরে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মনোনয়ন রিভিউয়ের আহ্বান জানিয়ে করা পোস্ট ভাইরাল হতে থাকে। সকালে নিজের পেজে সরকার শামীম লেখেন, ‘চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর-দক্ষিণ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি রাখছি।’ মুহূর্তেই পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুক ব্যবহারকারী শতাধিক মন্তব্যে নেতা-কর্মীরা লিখেছেন মতলব উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন এবং যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে তাঁদের আস্থা শামীমের ওপরই।
দলীয় সূত্র জানায়, শামীম দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গত শুক্রবার শহীদ জিয়া গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মতলববাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা দলীয় উচ্চপর্যায়ে মনোনয়ন রিভিউয়ের অনুরোধ জানিয়েছি।’ ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, তৌফিক আজিম মিশুসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অনেকে বলেন, আন্দোলনের কঠিন সময়ে শামীম কর্মীদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন এবং তিনি এলাকার পরীক্ষিত নেতৃত্ব।
একই দিনে রিভিউ দাবি জানান তানভীর হুদাও। সাবেক মন্ত্রীপুত্র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাঠপর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার মজুমদার বলেন, হুদা পরিবার মতলবের রাজনীতিতে ত্যাগ ও সততার প্রতীক। তানভীর হুদাই আসনের যোগ্য প্রার্থী। মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিল্লাল মৃধা বলেন, সংগঠন, আন্দোলন ও সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় তানভীর হুদা সবচেয়ে উপযুক্ত।
যুবদল নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে তরুণ নেতাদের অনুপ্রেরণা তানভীর হুদা। চাঁদপুর-২-এর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তাঁর হাতেই নিরাপদ। মাঠপর্যায়ে নতুন আলোচনার জন্ম তানভীর হুদা।