ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমের ভোট গ্রহণের সময় গোপন কক্ষে ভোটারের সঙ্গে প্রার্থীর এজেন্ট ঢোকার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুরে সরাইলের অরুআইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রের ২ নম্বর কক্ষের দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপন কক্ষে ভোটারের সঙ্গে ঢোকা ব্যক্তি নিজেকে কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। তাঁর নাম বাচ্চু মিয়া। গোপন কক্ষে কেন ঢুকলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটার আমাকে ডেকেছেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন না।’
তবে কেউ না বুঝতে পারলে সে ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার বিধান আছে—এমনটা জানালে সাত্তারের এজেন্ট বাচ্চু মিয়া এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘অনেকে অসুস্থ, তাদের দু-একজন ঢুকেছেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের আইন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে একই এলাকার পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নারী কেন্দ্রে ভোটারের সঙ্গে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে দেখা যায়। সেখানে ওই এজেন্টও সাত্তারের বলে জানা গেছে। তাঁর নাম জাহানারা। এই নারী পোলিং এজেন্টের দাবি, ‘আমাকে বলছে দেখার জন্য।’ কারা বলেছে—এ প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলতে চাননি জাহানারা।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই এজেন্টকে শাসিয়েছি। তিনি বুঝতে পারেননি। আর করবেন না।’