ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের তিতাস নদীতে ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকা উল্টে পানিতে ডুবে রিয়াদ (৩০) ও লিজা আক্তার (২৫) নামের স্বামী-স্ত্রী মারা গেছে। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ভৈরবনগর-উরখুলিয়ার মাঝামাঝি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত রিয়াদ উপজেলার কাইতলার দুলাল মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় মারিয়া (৭) নামের তাঁদের শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছে।
নৌকাটিতে থাকা সামসু মিয়া জানান, নৌকাটিতে নারী ও শিশু মিলিয়ে ৭-৮ জন যাত্রী ছিল। ভৈরবনগর-উরুখুলিয়ার মাঝামাঝি আসলে পাশ দিয়ে যাওয়া স্পিডবোটের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে সবাই পানিতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় রিয়াদ ও লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁদের শিশু সন্তান মারিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক জানান, রিয়াদ তাঁর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নৌকায় করে ঘুরতে বের হন। এ সময় নদীতে একটি স্পিডবোট যাওয়ার সময় বড় ঢেউ সৃষ্টি হলে, নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। পরে নদী থেকে রিয়াদ ও তাঁর স্ত্রী লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা নবীনগর থানা-পুলিশ জানায়, রিয়াদ ও লিজা ও তাদের শিশু সন্তান মারিয়া সহ পরিবার নিয়ে সিলেটে থাকেন। সোমবার তারা নবীনগরে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তিতাস নদীতে নৌকা ভ্রমণে বের হয়। ভৈরবনগর-উরুখুলিয়ার মাঝামাঝি আসলে পাশ দিয়ে যাওয়া নদীর ঢেউ নৌকাটি ডুবে যায়। এই ঘটনায় রিয়াদ ও লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি আরও তিনজন সাঁতরে তীরে উঠে আসে। এদের মধ্যে আর একজন খোশপিযারা বেগম নবীনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে তাঁদের শিশু সন্তান মারিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম জানান, মরদেহ দুইটি হাসপাতালে রাখা আছে। নিখোঁজ শিশু মারিয়াকে উদ্ধারে একটি ডুবুরি দল তিতাস নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।