ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাসলিমা বেগম (৩৫) নামের এক গর্ভবতী নারীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের এক কাজি অফিসে হয়েছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন তাসলিমা বেগম উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের নিধন মিয়া মেয়ে। বর ওই গ্রামেরই রহমত আলীর ছেলে নুর আলী (৪৮)। এটি তাঁর তৃতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে দুই মেয়ে। সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বিদেশে থাকে।
তাসলিমার ভাই আবু মিয়া জানায়, নুর আলী আমার বন্ধু। আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। আমি ভৈরব রিকশা চালাই। আমার বোনটি বাড়িতে একা থাকতেন। মা–বাবা নেই। নুর আলী আমার পাগল বোনটিকে বিয়ের কথা বলে খারাপ কাজ করে পেটে বাচ্চা দিয়েছে। ৫ মাসের গর্ভবতী আমার বোন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গ্রামের কিছু মানুষ নুর আলীর সঙ্গে আমার বোনকে বিয়ে দিয়ে দেন।
ওই গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি এ বিয়ে টিকবে না। নুর আলী অপকর্মের শাস্তি পায়নি। তাকে দেওয়া হয়েছে প্রমোশন। দেড় বছর আগে আরেক বার নুর আলী জোরপূর্বক এই মেয়েটিকেই ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছিল। তখনো ওই গ্রামের এই সালিসকারীরা মেয়েটির ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হোসেন মোবারক বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শান্তি-শৃঙ্খলার লক্ষ্যে গ্রামবাসী বসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি।