পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদের আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া তিনটার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূন্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে। সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করব। তা ছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করব। সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোনো স্থাপনা করার নিয়ম নেই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি। ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। এ জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা। এ পর্যন্ত দুই পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারী পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক, মো. আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস। ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূন্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোস্টে এসে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।