ঢাকার রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসচাপায় নিহত স্কুলছাত্র মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের (১৭) মরদেহের জন্য অপেক্ষায় স্বজনেরা। তার নানাবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। এসএসসি পরীক্ষা শেষে এখানে বেড়াতে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু আসতে হচ্ছে লাশ হয়ে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুর্জয়ের নানাবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সব আত্মীয়স্বজন বাড়ির সামনে বসে আছেন। কচি মুখখানা একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন সবাই। থেকে থেকে কেউ হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। এই অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
দুর্জয়ের পরিবার জানায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে দুর্জয় ছিল সবার ছোট। বড় ভাই মনির ঢাকাতে প্রাইভেটকার চালান। বড় বোন ঝুমা আক্তারের বিয়ে হয়ে গেছে। খালাতো বোন আমোদা বেগম ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন। আজ সরাইলে নানাবাড়ি এসে বোনের বিজয় উদ্যাপনে দুর্জয়ের শামিল হওয়ার কথা ছিল। সেই বাড়িজুড়ে এখন বিষাদের ছায়া। স্বজনেরা এখন তার নিথর দেহের জন্য অপেক্ষা করছেন।
খুরশেদ জানান, দুর্জয়ের একটি জানাজা ঢাকায় হয়েছে। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে নানাবাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দুর্জয়ের খালা আফিয়া বেগম বলেন, কিছুদিন আগে দুর্জয়ের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে বলেছিল, নানাবাড়িতে বেড়াতে আসবে। এখন ফিরবে নিথর দেহ নিয়ে। তার বাবা অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পড়ালেখা বন্ধ করেননি। সে ছাত্র হিসেবে অনেক মেধাবী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকেও কাজে সাহায্য করত সে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হয় দুর্জয়। সে রামপুরার একরামুন্নেছা বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।