ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে জীবন মিয়া (৩২) নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা-পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরীর নানি মামলা দায়ের পর আজ রোববার বিকেলে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
গ্রেপ্তার হওয়া জীবন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার শাহবুদ্দিনের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার নানির সঙ্গে জেলার সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে বসবাস করে। বর্তমানে নানি-নাতনি জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকায় পৃথক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। গতকাল শনিবার ভোরে পশ্চিম মেড্ডা এলাকায় কিশোরটি বাসা থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সচালক জীবন জোরপূর্বক তাকে উঠিয়ে নেয়। সেখান থেকে পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ায় বোর্ডিং মাঠ এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় অন্য একটি অভিযানে বের হয় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম আকন্দ। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানালে, তাদের সহায়তায় জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার সন্ধ্যায় এসআই ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরে সে জানায় অ্যাম্বুলেন্সচালক তাকে দুই বার ধর্ষণ করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরাও জানান কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দুপুরে কিশোরীর নানি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালককে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আলামত হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, ‘আমি একটি চুরির মামলার বিষয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। এ সময় ১৩-১৪ বছরের তিন কিশোর আমাকে জানায়, অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। পরে তাদের সহযোগিতায় প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করি, পরে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে।’