ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির আহ্বায়ক ‘হানিফ বাংলাদেশী’র নেতৃত্বে আখাউড়া উপজেলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতীকী লাশ ঘাড়ে নিয়ে মিছিল করেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির সদস্য মো. নুরুল আজিম, সৌরভ হোসেন বেলাল প্রমুখ। এর আগে হানিফ বাংলাদেশীর ‘লাশের মিছিল’ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অতিক্রম করেছে। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে—এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবেন তিনি। কর্মসূচিটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
প্রতীকী লাশের মিছিল সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে একজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করেছে।’
হানিফ বাংলাদেশী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুটি বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরী আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোরাকারবারি। হতে পারে গরু চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশে এটি এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।’