ভোলার লালমোহনে দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন।
আজ সোমবার সকালে লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তাঁদের সঙ্গে প্রাক্তন ছাত্র ও সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার পরেও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বেশি বেতন আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ল্যাব ও অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করে ফেলেছেন লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব। এ ছাড়াও প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি এবং লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন।
জানা যায়, ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব চাচাতো বোনের স্বামী। সেই সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমিসহ বাজারের কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। এ ছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের সত্যতা নেই। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বকে ফোনে পাওয়া যায়নি।’
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পাওয়ামাত্র আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’ তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত চলমান আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।