ভোলার বোরহানউদ্দিনে দাবি করা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে আলী আকবর ওরফে কাঞ্চন মিয়াজী নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির কর্মী সুফিয়ানের বিরুদ্ধে।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পঞ্চায়েত বাড়ির দরজার চৌরাস্তা নামক স্থানে সেলিমের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলী আকবর ওরফে কাঞ্চন মিয়াজী বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি একজন কৃষক। অভিযুক্ত সুফিয়ান ওই এলাকার মোজাম্মেল হক কাজল পঞ্চায়েতের ছেলে।
ভুক্তভোগী আলী আকবর কাঞ্চন মিয়াজীর ছেলে হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন, পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সুফিয়ান তাঁর বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন সুফিয়ান। গুরুতর অবস্থায় বাবাকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানার মধ্যে হামলার শিকার হন আলী আকবর কাঞ্চন মিয়াজীর ছেলে হুমায়ুন কবির। থানার মধ্যে পুলিশের সামনে দ্বিতীয়বার হামলার চেষ্টা করেন হামলাকারী সুফিয়ান। সুফিয়ান প্রকাশ্যে হুমকিসহ হামলা চালানোর চেষ্টা করেন বাদীর ওপর। এ সময় সুফিয়ানকে আটক করার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় থানা থেকে পালিয়ে যান হামলাকারী সুফিয়ান।
থানার মধ্যে প্রকাশ্যে হুমকির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন।
হুমায়ুন কবির বলেন, বিএনপির কর্মী হওয়ার কারণে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি।
এদিকে সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত সুফিয়ানের বাবা মোজাম্মেল হক কাজল পঞ্চায়েত জানান, তাঁর ছেলে সুফিয়ান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছেন। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হাওয়ায় একই এলাকার কৃষকের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তিনি তাঁর চাঁদাবাজ ছেলেকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জসিমউদদীন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুফিয়ান বিএনপির একজন সমর্থক। তবে দলে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।