ভোলা-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৮-এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া এলাকার কালীগঞ্জ ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। একই পথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ সাব্বির-৩-এর স্টাফরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় সুরভী লঞ্চের পাঁচজন স্টাফ, শিশু যাত্রীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সুরভী-৮ লঞ্চের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোলার ইলিশাঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাব্বির-৩ ও সুরভী-৮। নিয়ম অনুযায়ী সাব্বির লঞ্চ কালীগঞ্জ ঘাট ত্যাগ করার শেষ সময় ১০টা ৫০ মিনিট। কিন্তু তারা প্রায়ই ১১টার পর কালীগঞ্জ ঘাট ত্যাগ করে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, গতকাল রাতে ১১টার অনেক পর সাব্বির লঞ্চ কালীগঞ্জ ঘাটে এসে পৌঁছায়। এ সময় সুরভী ও সাব্বির লঞ্চের সুপারভাইজারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাব্বির লঞ্চের স্টাফরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সুরভী লঞ্চে হামলা চালান। তাঁরা লঞ্চে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাতে লঞ্চের গ্লাস ভেঙে যায়।
আহত যাত্রী ভোলা সদরের নাজিউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী রাবণ, সুমন, কবির হোসেনসহ সাধারণ যাত্রীরা বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে হঠাৎ লঞ্চে হইচই শুনে যাত্রীদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন ঘুমন্ত যাত্রীদের সামনে দিয়েই সাব্বির লঞ্চের স্টাফরা হামলা চালান। এ সময় লঞ্চের সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্বির লঞ্চের কেরানি রাজিব বলেন, তাঁরা ১০০ টাকা টিকিটে কালীগঞ্জ ঘাট থেকে যাত্রী তুলছিলেন। এ নিয়ে উভয় লঞ্চের স্টাফদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চের এক শিশু আহত হয়েছে। সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফরাও হামলা চালিয়েছেন বলে জানান তিনি।