নিখোঁজের তিন দিন পর পদ্মা নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতা আল আরাফি তামিমের (২৪) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১টায় জাজিরা থানাধীন পিটার চর এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। মৃত তামিমের পরিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তামিম চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এম. মজির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। এক ভাই-এক বোনের মধ্যে তামিম ছিলো ছোট। নিহত তামিম চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
তামিমের ভগ্নিপতি মো. ইউনুস মুঠোফোনে জানান, প্রথমে স্থানীয় লোকজন নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে যেকেউ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। এভাবে জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং এটা তামিমের মরদেহ তা শনাক্ত করি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাজিরা থানা পুলিশ ও স্থানীয় নৌ পুলিশ মিলে মরদেহটি থানায় নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তামিমের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবেন।
এদিকে তামিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র মো. মোরশেদ, পৌর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান সোহাগসহ রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা শেষে কাঠালবাড়ী ঘাট থেকে মাওয়া প্রান্তে নদীপথে ট্রলারে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হন ছাত্রলীগ নেতা তামিম। ওই সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৫ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তামিমের খোঁজ মেলেনি।