ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টায় মুন্সিগঞ্জ এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুরভী-৭ লঞ্চের পাঁচ শতাধিক যাত্রী বিকল্প লঞ্চে বরিশাল বন্দরে পৌঁছেছে। সুরভী-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সোহেল বলেছেন, কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সুরভী-৭-এর সম্মুখভাগে ছিদ্র হয়েছে।
ওই লঞ্চের যাত্রী বাবুগঞ্জের আরিফ হোসেন ও বাকেরগঞ্জের ছত্তার খান বলেন, ‘ঢাকা থেকে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে রাত ৯টায় যাত্রা করে। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লঞ্চটির। এরপর বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকদের নদীতে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে। তাঁরা তীরে উঠতে পেরেছেন কি না, জানি না। লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে আছেন। দুর্ঘটনার পর লঞ্চটি তীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।’
সুরভী-৭ লঞ্চের মালিক মো. রিয়াজ উল কবীর বলেন, পানির লেবেল থেকে এক হাত ওপরে লঞ্চের সামনের দিকে সামান্য ছিদ্র হয়েছে। পরে যাত্রীদের বিকল্প লঞ্চে বরিশালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুরভী-৭ দুর্ঘটনায় পড়ায় রাতেই ওই লঞ্চের পাঁচ শতাধিক যাত্রীকে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে বরিশালে আনা হয়েছে। লঞ্চটি সকাল পৌনে ১০টায় বরিশাল বন্দরে পৌঁছায়। সুরভী-৭ লঞ্চ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে।
তিনি বলেন, রাতে বাল্কহেডের চলাচল বন্ধে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো চলছে তা চোরাগোপ্তা। রাত নামলে লঞ্চের বেপরোয়া চলাচল প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি।