বরিশালের মুলাদীতে হত্যা মামলার আসামি তামিম মীরকে সৌদি আরব যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করেছে নাজিরপুর নৌপুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তামিম মীর মুলাদী উপজেলার বেয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং নূরুল আমিন হত্যা মামলার আসামি।
মামলা থেকে বাঁচতে সৌদি পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নাজিরপুর নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর মিত্র।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদরের লক্ষ্মীনগর গ্রামের নূরুল আমিন তাঁর চাচাতো ভাই কামরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি মুলাদীতে বেড়াতে যান। সেখানে সিঙ্গাপুরে লোক নেওয়া-আনার ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে কামরুল ইসলাম ও তাঁর শ্যালক তামিম মীর নূরুল আমিনকে হত্যা করে আড়িয়ালখা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার পরই কামরুল ইসলাম সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান।
দুই দিন পর ১২ অক্টোবর আড়িয়ালখা নদীতে নূরুল আমিনের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় তামিম মীরের বাবা খোরশেদ আলম মীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোরশেদ আলম স্বীকার করেন যে- তাঁর ছেলে তামিম ও জামাতা কামরুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে বাবা গ্রেপ্তারের পর থেকেই তামিম মীর পলাতক ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার গোপনে তিনি সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সংবাদ পেয়ে নাজিরপুর নৌপুলিশের ওসি প্রবীর মিত্র ঢাকার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তামিম মীরকে গ্রেপ্তার করেন।
নাজিরপুর নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর মিত্র আজকের পত্রিকাকে জানান, খোরশেদ আলম মীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর ছেলে তামিম ও জামাতা কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। গোপনে সৌদি আরব পালিয়ে যাওয়ার সময় তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।