বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার জেরে আনসারদের গুলিবর্ষণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল শুরু করে। অপরদিকে বেলা ১টার দিকে লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়। এদিকে যানবাহন চলাচল শুরুর পরপরই সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লার কালিবাড়ি রোডের ‘সেরনিয়াবাত ভবন’ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরে যায়।
নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বরিশাল বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাদের বাস চালানোর নির্দেশ দেন। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বাস চলাচল শুরু করেছে। একই কথা জানিয়েছেন, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নৌ বন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিক নেতারা। পরে বেলা ১টার দিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টিআই কবির।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাস ভবন ঘিরে রাখে র্যাব, পুলিশ, ডিবির সদস্যরা। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত দাসকে মেয়রের বাসার সামনে দেখা গেছে। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম মেয়রের বাসভবনে ঢুকতে চাইলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের ঢুকতে দেয়নি।
জানা গেছে, বেলা ১২টায় মেয়ররে বাসভবনে দলীয় সভা ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, দলের নেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কেন মেয়রের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তা জানার চেষ্টা করছেন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান।