বরগুনার আমতলীতে প্রতিবন্ধী চন্দ্রবান বিবির মৃত্যুর দুই বছর পরেও তাঁর নামে বরাদ্দ ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে হাফিজা নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই ভাতা তোলার বিষয়টি চন্দ্রবানের স্বজনেরা জানেন না। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জানা গেছে, ২০২০ সালে আমতলী উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের মৃত মোন্তাজ উদ্দিন চৌকিদারের প্রতিবন্ধী মেয়ে চন্দ্রবান বিবির নামে ভাতা বরাদ্দ হয়। ছয় মাস ভাতা তোলার পর ওই বছর জুন মাসে চন্দ্রবান মারা যান।
চন্দ্রবানের ভাতিজা সোহেল চৌকিদারের দাবি, তাঁর ফুফুর মৃত্যুর পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাবিবুর রহমান চৌকিদারের কাছে চন্দ্রবানের ভাতার বই জমা দেন। ইউপি সদস্য হাবিবুরের দাবি প্রতিবন্ধীর ভাতার বই এবং মৃত্যু তালিকা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দেন। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা অফিস তাঁর ভাতা বন্ধ করেনি। দুই বছর ধরে হাফিজা নামের এক নারী বিকাশে নম্বরে ওই ভাতার টাকা তুলে নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাফিজার বাড়ি কলাপাড়া পৌর শহরের মঙ্গলসুখ এলাকায়। ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিকাশ নম্বরে টাকা আসে। ওই টাকা আমি তুলি।’
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান চৌকিদার বলেন, ‘প্রতিবন্ধী চন্দ্রবান বিবির মৃত্যুতালিকা সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়েছি। তাঁরা ভাতা বন্ধ করছেন কিনা আমি জানি না।’
আমতলী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক কাওসার বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর মৃত্যুর বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ অবহিত করেনি। গত ২৩ মে ওই প্রতিবন্ধীর ভাতা একটি বিকাশ নম্বরে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ওই ভাতা সেই নম্বর থেকে তোলা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’