বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দ হওয়া অবিতরণকৃত সরকারি ভিজিএফের ১১০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
তবে ৩১ জন জেলে সময়মতো চাল নিতে না আসায় তাদের চাল বিতরণ করা হয়নি এমন দাবি করায় ৮৩ বস্তা চাল বাদ দিয়ে ২৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরে ওই ২৭ বস্তা চাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের জিম্মায় রাখা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এ চাল জব্দ করা হয়। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ অভিযান চালিয়ে এই চাল জব্দ করেন।
ইউএনও আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জাটকা ধরা বন্ধে সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরার ওপর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময়ে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫৪০ জন জেলেদের জন্য এই চাল দেওয়া হয়।
এ সময় ৩১ জন জেলের চাল প্রাপ্তির কোনো হিসাব তারা দেখাতে পারেন নি। তবে তাদের দাবি এই জেলেরা সময়মতো চাল নিতে আসেনি।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমাপ্তি সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি জেনেছি ইতিমধ্যে সদর ইউনিয়নে সব জেলেদের চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। আমার কাছে আজ এর মাস্টার রোল দেওয়ার কথা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরের এক ইউপি সদস্য বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের সকল ওয়ার্ডের চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। চেয়ারম্যান আত্মসাৎতের উদ্দেশ্যে চালগুলো মজুদ করেছে।
বেতাগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির খলিফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৭ বস্তা চাল ইউএনও স্যার জব্দ করেছেন। স্বেচ্ছাসেবীদের এই চালগুলো দেওয়ার কথা ছিল।’