হোম > সারা দেশ > বরিশাল

নেছারাবাদে গলাকাটা খাজনা, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নৌকার ক্রেতারা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 

নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর নৌকার হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেছারাবাদের শতবর্ষী একটি ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাটে অতিরিক্ত খাজনার জাঁতাকলে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। হাটে সরকারনির্ধারিত শতকরা ৫ টাকার বদলে প্রকাশ্যেই নেওয়া হচ্ছে শতকরা ১২ টাকা খাজনা। অভিযোগ রয়েছে, কথিত ইজারাদার শহীদ মল্লিক, হুমায়ুন মোল্লা ও সালাম ব্যাপারী এই অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন।

তাঁরা অতিরিক্ত খাজনার বিষয়টি আংশিক স্বীকার করলেও দাবি করছেন, অনেকের কাছ থেকেই শতকরা ৫ শতাংশ হারে খাজনা নেওয়া হচ্ছে। তবে বাস্তবে তিন গুণ পর্যন্ত খাজনা আদায়ের কারণে দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক ক্রেতাই হাটমুখো হতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নৌকা বিক্রেতারাও।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি বাংলা সনের পয়লা বৈশাখে আটঘরের আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২৮ লাখ টাকায় হাটের ইজারা নেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বলে পরিচিত। পরে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে সরিয়ে দেয় এক পক্ষ। এরপর থেকেই নতুন করে শুরু হয় অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায়।

হাটে আসা মো. গফুর নামের এক নৌকা ক্রেতা বলেন, ‘আমি ৬ হাজার টাকায় একটি নৌকা কিনেছি। আমার কাছ থেকে ৭২০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়েছে, যা শতকরা ১২ শতাংশের বেশি।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘হাটে কোনো নির্ধারিত খাজনার সাইনবোর্ড নেই। ইচ্ছেমতো খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এটা আসলে একধরনের গলাকাটা খাজনা।’

নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর নৌকার হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, ‘হাটটি মূল সড়কের ওপর বসে, এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট হয়। ফলে সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

আরেক ক্রেতা মো. শরিফ হোসেন বলেন, ‘শুনেছি, হাটে খাজনা নেওয়ার সরকারি হার রয়েছে, যা শতকরা পাঁচ টাকা। কিন্তু এখানকার ইজারাদারেরা তা মানছেন না বরং খারাপ ব্যবহার করছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে এই হাটে আসি। একসঙ্গে কয়েকটি নৌকা কিনে দূরে গিয়ে বিক্রি করি। এবার খাজনা দ্বিগুণের বেশি নিচ্ছে। সরকারি হাটবাজার প্রায়ই দলীয় প্রভাবশালী লোকজন ইজারা নেয়, ফলে তারা ইচ্ছামতো খাজনা আদায় করে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি বা হাত তুলতেও কসুর করে না।’

নৌকা কিনে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতা। ছবি আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে কথিত ইজারাদার মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকায় উপ-ইজারা নিয়েছি। আগের ইজারাদার যেমন খাজনা তুলতেন, আমরাও তেমনি করছি। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাঁচ টাকা হারে খাজনা নিচ্ছি, দূর থেকে যারা আসে, তাদের কাছ থেকে একটু বেশি নিচ্ছি। এখানে গলাকাটা খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।’

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই হাটের ইজারা নিয়ে একসময় কিছু সমস্যা ছিল, যা পরে মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত হারের বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

মালবাহী জাহাজের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা, আহত ৫

হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

আগামী নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঘন কুয়াশায় ভয়ংকর মেঘনা, এক রাতে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

নলছিটি লঞ্চঘাট ওসমান হাদির নামে নামকরণ

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠছে মরা মাছ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

গৌরনদীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা