সালিসি বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে করা পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নের আলোচিত সেই চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বাল্যবিবাহের সত্যতা পাওয়ায় সমন জারি করেছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে বাল্যবিবাহের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ওই চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর আজ সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জামাল হোসেন এ সমন জারি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দীর্ঘ তদন্ত শেষে রোববার ওই চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বাল্যবিবাহের প্রমাণ পেয়েছে বলে ৭২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। এরপর সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই চেয়ারম্যানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৫ জুন শাহিন হাওলাদার তাঁর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্কের সালিস করতে যান। এ সময় ওই কিশোরীকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিয়ের কাবিননামায় কিশোরীর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ অনুযায়ী, তার জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ছিল। সে সময় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হলে ওই একই কাজি ডেকে ২৬ জুন ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান তালাক দেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে শাহিন হাওলাদারসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক এম এ সোবাহান খান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন।