বরগুনায় নিখোঁজের দুই দিন পর বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরীর (১২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোটবাড়িয়া দরবার ব্রিজ এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় উল্লেখ করে পরদিন পরিবার থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে। পরে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে জঙ্গলে স্থানীয়রা মেয়েটির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘আমাদের সন্দেহ প্রতিবেশী আল আমিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে রেখেছে। নিখোঁজের পর থেকে এখন পর্যন্ত আল আমিন পলাতক রয়েছে।’
কিশোরীর মামা জানান, ‘মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশি রাজা মৃধার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল আমার ভাগনি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে সে অবস্থান করছিল। রাত ৯টার দিকে ভাগনিকে দেখতে না পেয়ে তাঁর মা খুঁজতে থাকে। রাতভর খুঁজেও হদিস না মেলায় পরেরদিন বুধবার বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের জানান এবং থানায় একটি সাধার ডায়েরি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্ত আল আমিন ও তাঁর পরিবারের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কিভাবে সে মারা গেছে। পরিবার মামলা করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’