বরিশাল নগরজুড়ে ডিশ কেবল, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আজ সোমবার ভোরেও নবগ্রাম সড়কে জড়াজড়ি করে থাকা তারে স্ফুলিঙ্গ থেকে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সেখানকার বেশ কয়েকটি দোকান। ঘটনার পর সংশ্লিষ্টরা একে অপরকে দায়ী করছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে নগরের নবগ্রাম সড়কের ফরেস্টার বাড়ি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
স্থানীয় দোকানিরা বলেন, আমরা আতঙ্কে আছি। আমাদের বিদ্যুৎ যেমন দরকার, তেমনি ইন্টারনেট, ডিশ সংযোগও প্রয়োজন। তবে এই তারের জাল থেকে নগরবাসীর ঝুঁকি দূর করার জন্য একটি প্রক্রিয়ায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ বিভাগ নিম্নমানের তার ব্যবহার করে। এ কারণে ওভারলোড হয়ে ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে বিভিন্ন ডিশ, ইন্টারনেট কোম্পানির তারও পুড়ে যায়।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগের বরিশাল সিঅ্যান্ডবি ফিডারের ইনচার্জ মো. রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার ভোর ৫টার দিকে নগরে নবগ্রাম রোডের ফরেস্টার বাড়ির মুখে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে ইন্টারনেট ও ডিশের তারের সংস্পর্শে স্পার্ক করে। এতে সেখানকার ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে যায়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে আশপাশের বহু দোকানে আগুন ধরে যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিশ কোম্পানিগুলো তাদের তার নানা সময়ে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে পেঁচিয়ে রাখে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক হতে নোটিশও দিয়েছি। কিন্তু কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে ডিশ, ইন্টারনেট লাইন কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে তাদের লাইনগুলো আলাদা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নগরের মধ্যে নতুন করে খাম্বা বসিয়ে আলাদা লাইন করার সুযোগও নেই।’ তিনি বলেন, ‘নবগ্রাম সড়কে সংঘটিত এধরনের দুর্ঘটনা রোধে তারের জাল একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’