বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও জাহিদ ফারুকের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে হামলার শিকার হন দুই সংবাদকর্মী। মারামারির ভিডিও ধারণকালে একজনের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আহত ওই দুজন সংবাদকর্মী হচ্ছে আজম খান ও তারিকুল ইসলাম। তারা দুজন শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার সংবাদকর্মী আজম খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে কর্মসূচি পালনকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিটি মেয়র অনুসারী ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুসারীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এর নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগ নেতা সিফাত ও রক্তিম। ভিডিও ধারণের একপর্যায়ে সিটি মেয়র অনুসারী আল সামাদ শান্ত সহ ৩-৪ জন শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে।
বরিশালের সিটি মেয়র অনুসারী সিফাত জানান, ক্যাম্পাসে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী রক্তিম বলেন, তাদের ফুল দিতে বাধা দেয় সিফাতের কর্মীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, ক্যাম্পাসে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে। আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এক সংবাদকর্মীর মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি উদ্ধার করা হয়। আহতদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।