বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। বিষয়টি নিয়ে উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার সাউদেরখাল ব্রিজ এবং গয়নাঘাটা ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ দুটি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটারে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স বিএনকো ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ১২ মার্চ ব্রিজসহ অ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। অ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণের পর সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই দফায় সংস্কার করলেও বর্তমানে সড়কটি ভেঙে গেছে।
সাউদেরখাল ব্রিজ এবং গয়নাঘাটা ব্রিজ এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ কারণে এসব এলাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত রোববারও গৌরনদীতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল চালক শফিকুল ইসলাম হাওলাদার (৩৮) নিহত হন। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের আশোকাঠী ব্রিজের ওপর এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাহাবুব রহমান জানান, মহাসড়কের আশোকাঠী ব্রিজের ওপর মোটরসাইকেল চালক পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ এর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মহাসড়কের এসব মোড় বিপজ্জনক হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকা অতিক্রমকালে যানবাহনগুলোর গতিসীমা সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার লেখা থাকলেও চালকেরা ৮০ কিলোমিটারের ওপরে যানবাহন চালায়। স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুপাশে বনায়নের বৃক্ষগুলো বড় হয়ে ঘন বনের মতো হয়ে যাওয়ায় বাঁকগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ রুটের সাউদিয়া পরিবহনের ম্যানেজার ইমাম হোসেন বলেন, সারা দেশের মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ। এ সড়কটির দীর্ঘ বছরেও উন্নতি হয়নি। ঈদের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ। ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে গাছের ডালপালা পড়ে থাকে। এগুলো নিয়মিত অপসারণ না করায় চালকরা যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। যেকারণে প্রায়সই ঘটে দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো: তানভির আলম বলেন, বর্ষার কারণে কিছু কিছু জায়গায় খানাখন্দ হতে পারে। বৃষ্টি থাকায় সংস্কার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন, তারা সড়কের পাশের ডালপালা কেটে এবং চিহ্ন দিয়ে বিপজ্জনক মোড় এর দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। ফোর লেন হলে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক অনেকাংশেই থাকবে না।