বরিশাল নৌবন্দরের তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নৌবন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চার শিক্ষার্থীদের মারধর ও কানধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বরখাস্ত হওয়া বরিশাল নদী বন্দরের তিন শুল্ক প্রহরী হলেন—মো. মিজানুর রহমান, মো. কামাল হোসেন ও মো. জাকির হোসেন।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রোববার রাতে তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার একটি আদেশ আজ সোমবার হাতে পেয়েছি। বিষয়টি ওই তিন শুল্ক প্রহরীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ববির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নদী বন্দরে প্রবেশ করা নিয়ে ঝগড়া ও মারধরের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে এই তিন শুল্ক প্রহরীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার রাতে বরিশাল নৌবন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে কান ধরে ওঠবস ও মারধরের অভিযোগ ওঠে নদী বন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে কর্মরত শুল্ক প্রহরীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে ববির শিক্ষার্থীরা বরিশাল নদী বন্দরে বিক্ষোভ করে। তারা শিক্ষার্থীদের মারধর ও কানধরে ওঠবস করানোর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।